মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৬ অপরাহ্ন
হাবিবুর রহমান- পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধিঃ
দুর্নীতি, অনিয়ম, নিয়োগ বানিজ্য, একক নিয়ন্ত্রণে প্রতিষ্ঠন পরিচালনা করা, নিয়োগ বানিজ্যের টাকা দিয়ে মাদ্রাসার উন্নয়ন না করে নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে টাকা আত্মসাৎসহ নানা অনিয়মের প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবীতে রংপুরের পীরগঞ্জের শেরপুর দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসার সুপার আঃ ওয়াহেদ ও সহকারী সুপার শাহিন মিয়া এবং সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর মিয়ার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবক ও গ্রামবাসী।
গতকাল সোমবার (২৩ সেপ্টম্বর) সকাল ১১টায় মাদ্রাসার সামনের সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ তোলা হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ নানা শ্রেণি-পেশার দুই-শতাধিক মানুষ অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, নিয়োগ বানিজ্য করে ৮০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন মাদ্রাসায় না এসেও মাদ্রাসার হাজিরা খাতাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে বাসায় কাজ করে তারা।
মাদ্রাসার ল্যাপটপ, কম্পিউটারসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরি করে বাসায় নিয়ে যায় এবং মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো ফলাফলের জন্য দেয়া ৫টি ট্যাব হাতিয়ে নিয়েছে তারা।
এছাড়া প্রতিবছর বই বিতরণের সময় ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়া, রেজিস্ট্রেশন ও ফরম ফিলাপ বাবদ প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়, রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে মাসে ২-৩ দিন মাদ্রাসায় এসে সারা মাসের হাজিরা দেয়া, সরকারি অনুদানের টাকা দ্বারা মাদ্রাসার উন্নয়নমূলক কাজ না করে আত্মত্মসাৎ করাসহ আরও নানা দূর্নীতি অনিয়মের কথা তুলে ধরেন বক্তারা।
মানবন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, মাদ্রসার কোন উন্নয়ন করা হয়নি। অপরিছন্ন ক্লাস রুম নেই ফ্যানের ব্যবস্থা, সাইকেল গ্যারেজ, ওয়াশরুম, পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা, নেই মাদ্রাসার গেইট, সিমানা প্রাচিরসহ বিভিন্ন সমস্যায় রয়েছি আমরা। আমরা সকলে মাদ্রাসার উন্নয়ন চাই।
মানবন্ধনে অবিভাবকরা জানান, মাদ্রাসায় কোন লেখাপড়ার পরিবেশ নেই। নেই ঠিকমত শিক্ষকদের উপস্থিতি। সময়মত করানো হয় না ক্লাসও। আমরা জানতে পেরেছি এই মাদ্রাসায় ৮০লক্ষ টাকার মতো নিয়োগ বানিজ্য হয়েছে । তারপরও মাদ্রাসায় কোন উন্নয়নমুলক কাজ করা হয়নি। আমাদের চাওয়া যেন মাদ্রাসার উন্নয়ন করা হয়।
এ বিষয়ে শেরপুর দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসার সুপার আঃ ওয়াহেদ বলেন, আমার বিরুদ্ধে সব মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
পরে মানবন্ধনকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।